একলা দিল্লী, চতুর্থ পর্ব

আর দু’দিন পরেই ১৫ই আগস্ট। দিল্লী জুড়ে নিরাপত্তার বহর বেশ বেড়ে গেছে। বাড়ি থেকে কড়া ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, যা ঘোরাঘুরি বাকি, আজই সেরে ফেলতে হবে। কাল থেকে আর কোনোমতেই না। অগত্যা, কাঁচা ঘুম চটিয়ে সকাল সকাল আজ আরও একবার আমি মেট্রো সওয়ারি। অগ্রসেন কি বাওলি আজকের মেনুতে প্রথমেই স্বাদ বদল। মোঘল আবহের বাইরে খানিকটা রাজপুত … Continue reading একলা দিল্লী, চতুর্থ পর্ব

একলা দিল্লী, তৃতীয় পর্ব

আজকের প্রাথমিক গন্তব্য আরও একবার হুমায়ুনের সমাধি। গতকাল বেরোবার পথে দ্বাররক্ষীর কাছে জেনে নিয়েছিলাম কটায় গেট খোলে। সাতটার মধ্যে চলে এসেছি আজ। কিছুক্ষণ হলো রোদ উঠেছে। আজকের দিনটা খুব সুন্দর। একেবারে ফটোগ্রাফিক লাইটিং। তাছাড়া ভিড় নেই বললেই চলে। আর নেই গরমও। কালকের নোট নেওয়া জায়গাগুলোতে ছবি তুলে ফেলতে খুব বেশি সময় লাগলো না। আমার থেকেও … Continue reading একলা দিল্লী, তৃতীয় পর্ব

একলা দিল্লী, দ্বিতীয় পর্ব

হুমায়ুন’স টোম্ব কমপ্লেক্স আজ দ্বিতীয় দিন। গতদিন ঠিকঠিক ভাবে ফিরতে পারায়, আত্মবিশ্বাস বেশ বেড়েছে। তবে বেরোতে খানিকটা দেরী হয়ে গেলো আজ। ভিড়ও তাই অযথা। মেট্রো-যুদ্ধ শেষে যখন পৌঁছলাম, ততক্ষণে বারোটা বেজে গেছে। রোদ মাথায়। বিশাল টিকিট লাইন। দশটাকার ভেলপুরি কিনে এনে দাঁড়িয়েছি। স্কুল পড়ুয়া থেকে শখের ভ্রমণার্থী, কে নেই! ঈশা খান, হুমায়ুন এবং নাপিতের সমাধি, … Continue reading একলা দিল্লী, দ্বিতীয় পর্ব

একলা দিল্লী, প্রথম পর্ব

এই নিয়ে আমার যাওয়া তিনবার। ২০০১ এ, ২০১২ তে আর এইবার। প্রথমবার বাবা-মার সাথে আর দ্বিতীয়বার একটি কম্পিটিশনে। এবারের ব্যাপারটা খানিকটা আলাদা। কাকু দিল্লীতে থাকেন। ঠাম্মাকে সেখানে রাখতেই এবার যাওয়া। তবুও দিল্লী যাব অথচ ঘুরবো না, এ তো আর হয়না। পরদিনই কাকুর সাথে বেড়িয়ে জেনে নিলাম মেট্রোতে যাতায়াতের খুঁটিনাটি। এবার কাকুর ছুটি নেই। তাই একা … Continue reading একলা দিল্লী, প্রথম পর্ব

চলতে চলতে চলচ্চিত্র

আয়নাখানা সামনে রেখে পটু হাতে কি পরিপাটি করে চুলে বিনুনি কাটছে মেয়েটি! কতই বা বয়স হবে, এই পনেরো কি ষোলো। আর ওই যে পাশে ছোট্টটি, তার ব্যস্ততা তো আরও। দিদিকে নকল করতে গিয়ে নাকে মুখে তার লিপষ্টিক লেগে একসা। খুব সুন্দর পোশাকে সেজেছে তারা। আরে ওদিকটায় কীসের ভিড়? মেলা মনে হচ্ছে। হ্যাঁ, মেলাই তো, ভাঙা … Continue reading চলতে চলতে চলচ্চিত্র

জয়দেবের মেলাতে

শান্তিনিকেতন থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অজয়নদের তীরে কেন্দুবিল্ব। সংস্কৃত কবি জয়দেবের জন্মস্থান এই গ্রাম আজ পরিচিত জয়দেব-কেন্দুলি নামে। পৌষসংক্রান্তির দিন এখানে বসে বাউল-কীর্তনের আসর, চলে আরও দু'দিন। দূরদূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ আসেন বীরভূমের লোকসংস্কৃতির স্বাদ নিতে। রাধাবিনোদকে সাক্ষী রেখে নরনারায়ণের সাথে এক হতে আসেন অগুনতি সাধু-সন্যাসী। মকরের পুণ্যস্নান এখানকার এক বিশেষ আকর্ষণ। তিনদিনে প্রায় … Continue reading জয়দেবের মেলাতে

ভাঁজো- বাংলার একটি কৃষিকেন্দ্রিক অশাস্ত্রীয় মেয়েলী ব্রত

বাংলার পরতে পরতে যেসব পরব পার্বণের গন্ধ মিশে আছে একান্ত গ্রাম্যতায়, ভাঁজো তাদেরই একটি। ভাঁজো, বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার সামান্য কিছু অংশে প্রচলিত। এটি মূলত কৃষিভিত্তিক একটি পার্বণ যার উৎস হিন্দুপুরাণের সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রচলিত কাহিনী। সাধারণভাবে, কৃষি ও ফসলের দেবতা, দেবরাজ ইন্দ্রকে তুষ্ট করার জন্যই কুমারী মেয়েদের এই নৃত্যোৎসব। ‘ভাঁজো’ এই নামকরণের কোনো … Continue reading ভাঁজো- বাংলার একটি কৃষিকেন্দ্রিক অশাস্ত্রীয় মেয়েলী ব্রত